Wednesday, 1 March 2017

বই পড়া —গো য়ে ন্দা গ ল্প

                     গো য়ে ন্দা গ ল্প



‘Every man at the bottom of his heart believes that he is a born detective — John Buchan


 জীবন যদি অ্যাডভেঞ্চার হয়, যদি হয় রহস্যের তদন্তভূমি তবে সেক্ষেত্রে আমরাই গোয়েন্দা, আমরাই খুনি। কখনো রক্ষা করে, কখনো হত্যা করে, কখনো আত্মবিস্মৃতিকে সামনে এনে নিজেরাই হয়ে উঠি নেপথ্য গোয়েন্দা, গল্পের নায়ক যে নায়ক প্রকট, প্রচ্ছন্ন। সে ঘুরে বেড়ায় একা, আতসকাচ হাতে...করে চলে চুলচেরা আত্মবিশ্লেষণ, প্রখর অনুসন্ধান। অবশেষে এভাবেই খুঁজতে খুঁজতে একদিন সে হঠাৎ খুঁজে পায় জটিলতার ক্লু। দেখতে পায় সমাধানের দীর্ঘ পথরেখা। কবি হয়ে ওঠেন গোয়েন্দা, গোয়েন্দা হয়ে যান খুনি। ফলে বস্তুত, তখন পৃথিবীতে আর কোনও কিছুই আসান ও স্পর্শদায়ক থাকে না। কবি বলে ওঠেনঃ “In my world unfortunately nothing is simple and touching might get you in legal trouble.”

 কবি সব্যসাচী সান্যালের সদ্য-প্রকাশিত কবিতার বই গোয়েন্দা গল্পঠিক এ কথাই বলে। কবি যেন দুঁদে-গোয়েন্দা স্বরূপ পাঠককে মনে করান পৃথিবীর কাব্যলোকে সরল ও স্পর্শদায়ক কিছু হয়না। হতে পারে না। আর তাই এক্ষেত্রে তিনি প্রচলিত নামকরণ প্রথার থেকে দূরে হেঁটে, তাঁর আগের বইগুলোর মতই, নতুন কাব্যগ্রন্থের জন্য বেছে নেন সম্পূর্ণ আলাদা রকম ফিকশানধর্মী এক উচ্চারণ-‘গোয়েন্দা গল্পহ্যাঁ, ‘গল্প’ই, কবিতা না। কিন্তু কবিতার বই হিসেবে কবির কেন এ নামকরণ? সে প্রশ্নে পরে আসছি। আগে ২টো কবিতা পড়া যাক
২২।

অসুস্থ মানুষেরা জুতো পালিশ করছে। আবর্জনার গাড়ি রাস্তা কাঁপিয়ে চলে যাচ্ছে। ঘুমের ওষুধের পাশে জল কেঁপে উঠছে গেলাসে। খুনির ভেতরে একটা সাদা গান, হলুদ ফিতের ওপারে ক্ষত থেকে বেরিয়ে আসা এক নালির জন্য যে অপেক্ষা করেই যায় সারাজীবনযেন সারা জীবন মানে ঘুমের ওষুধের পাশে রেখে দেয়া জলের গেলাস।

খুনি দেখেন জলের ভেতর চকচক করে উঠছে সময়। জলের ভিতর পচে উঠছে ধৈর্য। খুনি জানেন এই বার মানুষ ভ্রমনে বেরবেখুনি বোঝেন, ভ্রমন কোন গন্তব্যের জন্য নয়। ভ্রমন মানুষকে বুঝতে সাহায্য করে তার অবস্থানের সার্বভৌম একাকীত্ব। খুনি বোঝেন, ভ্রমন মানে অন্ধকারে একটা বুক পকেটের খোঁজে হাতড়ে বেড়ানো- মরে যাবার আগে, যেখানে মানুষ তার আইডেন্টিটি কার্ড রেখে যেতে পারে।

হলুদ ফিতের এপার থেকে গোয়েন্দা দেখতে পান অঘটনের অব্যবহিত পরে মানুষের হাঁটার স্টাইল কীভাবে বদলে যায়, কীভাবে খানিক্ষণের এলোমেলো সে হঠাৎ নিচু হয়ে বালির উপর থেকে কুড়িয়ে নেয় নতুন পরিচয়পত্র...বীমার দলিল
...

৩৫
নিজেকে এড়িয়ে যাওয়াএতটুকুই বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন। মানুষ মানুষকে শুইয়ে রাখে ফুলকপির ক্ষেতে। মানুষের পিত্তথলির রঞ্জকে হলুদ হয়ে ওঠে অসময়ের শীত। কাগজের শহরে দীর্ঘশ্বাসের মতো গোয়েন্দা ঘুরে বেড়ানতাঁর কমলা জামার কলারে থক থক করছে দু-চারশো বছরের মাছি ও প্রেরণা। এই আয়না শহরে খুনিও জেগে থাকেন। পত্রপ্রেরকের মতো। নীরব। অধীর।



          এই অন্ধকার শহরে হারিয়ে যাওয়া গোয়েন্দারা
         আমি ক্রমশ তাদের গোঙানি শুনতে পাই’ 
রবার্তো বোলানো



 বিশ্বসাহিত্যে গোয়েন্দা কাহিনির ইতিহাস বেশ পুরনো হলেও বাংলা সাহিত্যে এই ধারা খুব বেশি দিনের নয়। বাংলা গোয়েন্দা গল্পের শুরুয়াৎ ১৯ শতকের শেষের দশকে। এর আগে অবশ্য বটতলার কিছু বইয়ে অপরাধমূলক লেখাপত্র প্রকাশ পেলেও, তা ছিল সাহিত্য গুণবর্জিত এবং রহস্যবিহীন। সে লেখায় মর্ডানিটি ছিল না, ‘psychological vividness’ ছিল নাঅনুমান করা হয়, প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায় সর্বপ্রথম বাংলায় গোয়েন্দা সাহিত্যের প্রস্তর স্থাপন করেন এবং তাঁর রচিত দারোগার দপ্তর’(১৮৯২) বইটি সে সময় বিপুল সাড়া জাগায়। পেশায় গোয়েন্দা-বিভাগের কর্মী হিসেবে এ বইতে তিনি মূলত ক্রাইম-ডিটেকশানের সোজা-সাপটা বিবরণমূলক অভিজ্ঞতাকে(anecdote)মেলে ধরেন। তাই এক্ষেত্রে, বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক থ্রিলার-নির্মাতা হিসেবে লেখক পাঁচকড়ি দে-কেই স্বীকৃতি দেওয়া যায়, যিনি তাঁর গল্পের উপাদান হিসাবে প্রখ্যাত ইংরেজ লেখক কোনান ডয়েলের থেকে রসদ সংগ্রহ করেন। ঊনবিংশ শতকের শেষ দশকে গোয়েন্দা গল্পের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। আর সে সময় লেখক হিসেবে মনীন্দ্রনাথ বসু, শরচ্চন্দ্র সরকার প্রমুখ আত্মপ্রকাশ করেন। এ সময় বহু পঠিত লেখক ছিলেন হরিসাধন মুখোপাধ্যায়। এরপর একে একে আমরা পাই দীনেন্দ্রকুমার রায়, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, হেমেন্দ্র কুমার রায় প্রমুখ লেখকদেরকেবাংলার লেখিকাদের ভিতর প্রভাবতী দেবী সরস্বতী, শৈলবালা ঘোষজায়ার অবদান এশাখায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া পরবর্তীতে, গোয়েন্দা সাহিত্যেকে যাঁরা ঊর্ধে নিয়ে যান, তাঁদের ভিতর শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ও সত্যজিৎ রায় অন্যতম। দুঃখের বিষয় এই যে, একটা সময়ের পর বাংলায় গোয়েন্দা সাহিত্য আর সাবালকত্বের চেহারা নেয়নি। আর তাই আজও সিনেমার দয়ায় পঃবঙ্গের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ গোয়েন্দা বলতে মূলত ফেলুদা, ব্যোমকেশ এবং কিরিটীকেই চিনে থাকে| সুতরাং, এহেন সীমাবদ্ধ আঙিনায় বাংলা কবিতায় গোয়েন্দার এন্ট্রি প্রায় অভাবনীয়, বিস্ময়কর এবং চমকপ্রদ | হ্যাঁ, যদিও শাশ্বত চিরপরিচিত গোয়েন্দা চরিত্রের সাথে গোয়েন্দা গল্পের কোনও মিল নেই, তবুও সব্যসাচী সান্যালের হাত ধরে নামহীন গোয়েন্দার পুনঃআবির্ভাব নির্দ্বিধায় অনন্য, মৌলিক এবং প্রশংসনীয়



‘Life is a mystery and you my friend are a detective’


 কিন্তু, গোয়েন্দা কে? বড় জটিল প্রশ্ন| কবি? কবির কোনও পরিচিতজন? পাঠক? না কি কবি-পাঠক উভয়েই? আমার ধারণায় কবিতা বিষয়টাই একরকম গোয়েন্দা গল্প| এখানে কবি পাঠক উভয়েই গোয়েন্দা, উভয়েই খুনি| প্রত্যেকেই যে যার ভূমিকায় চালিয়ে যায় এক এক আত্ম জিঞ্জাসা, ব্যক্তি-অনুসন্ধান| যে অনুসন্ধানের কোনো সমাপ্তি হয় না| পরিধি হয় না| তাই কবিতা যতটা পাঠকের, ততটাই ঠিক কবির| এক মিক্স কোলাবোরেশন| প্রসঙ্গে উৎপল কুমার বসুর একটি উদ্ধৃতি স্মরণীয়"আমি চাই পাঠক তার প্রাণপণ চেষ্টা করুক| পাঠকের সঙ্গে সব সময় আমার একটা দান্দ্বিক সম্পর্ক থাকে| আমি একটা জিনিস তৈরী করে পাঠককে দিলাম আর সে খেয়ে নিল| সেটা আমি চাই না| আমি চাই সে নিজেও কিছু কন্ট্রিবিউট করুক| সে নিজেও তৈরী করুক| আসলে এটা আমাদের যৌথ, দ্বৈত উদ্যোগে তৈরী একটা কবিতা|" সুতরাং, কিছু কবি যেমন কবিতাকে পুরোপুরি পাঠকের হাতে ন্যাস্ত করেন, কিছু লেখক আবার কবিতা রচনা করেন সম্পূর্ণ নিজের জন্য, যা পাঠকের অনুভূতিতে আলাদা রূপ ধারণ করে| আর কথা না বললেও চলে, সব্যসাচী সান্যাল দ্বিতীয় গোত্রের কবি, যাঁর অনুভূতি একাআমি সর্বস্ব...

 গোয়েন্দা কাহিনীর মূল উপজীব্য লুকিয়ে থাকে এক মনস্তাত্বিক প্রেক্ষাপটে, সন্দেহ প্রবন মানসিকতায়| একজন কবি/লেখক রচয়িতা হিসেবে তখনই শ্রেষ্ঠ হন, যখন তিনি মনে প্রাণে আদর্শ খুনী হয়ে ওঠেন| মনে-প্রাণে খুনি হওয়া মানে অবশ্যই কাউকে খুন করা নয়| খুনি হওয়া মানে খুনির মতো করে ঘটনাকে ভাবা, পরিস্হিতির মোকাবিলা করা| যেমন একজন লেখকের দায়িত্ব পাঠক হিসাবে আত্ম-সমীক্ষণ করা, নিজের সমালোচনায় ব্রতী হওয়া| আর এখানেই মূল কৃতিত্ব|  তাই বলা হয়, 'একজন কবিই তাঁর সবচেয়ে ভালো পাঠক'| সাম্প্রতিক এক উর্দু-সাহিত্য-সম্মেলনে(‘Jashn-e-Rekhta’) হিন্দি ভাষার জনপ্রিয় কবি গীতিকার গুলজার, মির্জা গালিবের প্রসঙ্গ টেনে ঠিক কথাই বলেছেনGhalib used to edit his own poems and often reject the works he did not like. It is important for poets and writers today to know their own works as well as reject them if they are not up to their standards.”

 'গোয়েন্দা গল্পে' সান্যাল যেন ঠিক এই কাজটাই করেছেন| তাঁর যাবতীয় দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-সংশয়-যুক্তিকে সামনে রেখে প্রথম থেকে শেষের দিকে এগিয়ে গেছেন যথাযথ ভাবে| প্রথম কবিতার শুরুতেই কবি বলছেন
          
গোয়েন্দা(কবি বা পাঠক অর্থে) খুঁটিয়ে দেখেন তার আভা।
এ এক আত্মসমীক্ষণের পূর্বাভাস; গুলজারের কথায়Self-evaluate and self-edit”

 প্রতিটি লেখায় কবি নিজেকে ভেঙেছেন। ভেঙেছেন তাঁর যুক্তি এবং দ্বন্দ্ববোধকে। বার বার প্রশ্ন তুলেছেনআর নিজেই তার সাম্ভাব্য উত্তর খুঁজে এগিয়ে গেছেন অন্ধকার থেকে আরও আরও অন্ধকারের দিকে। এ যেন অসীম যাত্রা, যার কোনও সূচনা হয় না, সমাপ্তি হয়না। আর এভাবেই এগোতে এগোতে তিনি জানতে পেরেছন বিপর্যয় থেকে উঠে আসা পায়ের ছাপ গুনতে গুনতে কিছু শব্দ মানুষের ভেতর চিরজীবনের মত ঢুকে যায়, মানুষ তাকে ভারী আপন করে ফেলে”; বুঝতে পেরেছেনসন্দেহ..., যা অসীমের একটা অংশ”“দৃষ্টির আড়াল হয়ে থাকে।



 'The Triangle  Is a Foundation to an Offence'                                                                                                              


 কবিতা অনেকটা ত্রিভুজের মতো। তাই আগেই একটা শব্দ বলে রেখেছিলাম মিক্স কোলাবোরেশন কেননা আমি মনে করি যে, কবি পাঠক যদি ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান হয়, তাহলে কবিতা হল সম্পূর্ণ আলাদা আরেকটি বিন্দুকবি যখন  এক বিন্দু থেকে অপর বিন্দুর দিকে যাত্রা শুরু করে, পাঠককেও একান্তভাবে অন্য বিন্দু থেকে সেই বিন্দুর দিকে এগিয়ে যেতে হয়। আর উভয়ের এই একই বিন্দুতে মিলনের ফলে তৈরি হয় কাল্পনিক কবিতার সম্যক উৎপত্তি, যার মধ্যে শুধু কবিতাই নাবরং মিশে থাকে কবি-পাঠক উভয়ের দ্বৈত উদ্যোগ, স্থানীয় ক্ষেত্রফল...

 কবি
সব্যসাচী সান্যাল তাঁর গোয়েন্দা গল্পেঠিক এ বিষয়টাই বোঝাতে চেয়েছেন। যে ক্ষেত্রের একদিকে গোয়েন্দা, একদিকে খুনি, আর অন্যদিকে মানুষতিনটি বিন্দু। তিনটি অস্তিত্ব। সারা বই জুড়ে এই ত্রিবিধ মৌলিক সত্ত্বাই যেন ঘুরেফিরে এসেছে। দেখার মতো বিষয় এই যে, কোনও নির্দিষ্ট নামকরনের দ্বারা কবি তাঁর লেখাগুলিকে সীমাবদ্ধ না করে, বরং চিহ্নসূচক সংখ্যা বেছে নিয়েছেন। এ এক আশ্চর্য দর্শন, যেখানে গোয়েন্দা জানেন, গভীরতা মানুষকে সঙ্কুচিত করে আকারে, আকাক্ষায়। খুনি বোঝেন, মানুষ বলতে আমরা যা বুঝি তা আসলে এক একটি ঢেউ মাত্র যার ধর্ম, প্রতিরোধ আর অপশানের একটা একটা ছদ্মবেশ নিয়ে বারবার আয়নার উপর আছড়ে পড়ে। অদ্ভুতভাবে দুটি পৃথক ও বিপরীত সত্ত্বা মানুষকে নিয়ে কথা কয়ে ওঠে। অথচ আলাদা প্রেক্ষিতে, মৌলিক উচ্চারণে। তখন মৃত্যু আর নিছকই মৃত্যু থাকে না। হয়ে ওঠে ‘Murder Mystery’  তথা গোয়েন্দা গল্প


 সারা বইজুড়ে জাগতিক এলিমেন্টেসের তছনছ হয়। অতি সামান্য জিনিসের পরিপার্শ্ব থেকে বেরিয়ে আসে দর্শন চেতনা, সাইকোলজিকাল ডার্কনেসযা কবিতার উচ্চারণকে বহুগুণে মজবুত করে। সবশেষে কয়েকটি কবিতার ছিন্ন-বিছিন্ন পংক্তি তুলে দিলাম পাঠকদের জন্য

() গোয়েন্দা জানেন, এক সময় আর অপর সময়ের জোড়ের চিহ্নটুকুই বিপন্নতা।

() যতই এড়িয়ে যেতে চান, সূত্র গোয়েন্দাকে ছেড়ে উঠছে না।

() আমাদের মাথার উপর ছাদ, চারপাশে দেয়াল সব কিছু, সমস্ত সব প্রশ্ন দিয়ে তৈরি।

() পরিবর্তন একটা ধারণা, বস্তুর, বস্তুর দিকে এক নাগাড়ে তাকিয়ে থাকা চোখের। আসলে সমস্ত বদল বস্তুর আড়ালেই, চোখের আড়ালেই ঘটে।

() পর অপর, এরই মাঝে সূত্রগুলো রাখাআপন বলে কিছু নেই।... মৃত্যুকে মেনে নেওয়া মানে জীবনকে মেনে নেওয়াএরকমই গোয়েন্দা ভাবেন।

() ক্ষমতা যদি একটা কনসেপ্ট হয় আর কনসেপ্ট যদি জমিতবে তার মধ্যে গোলাপ চাষ করা চলতে পারেআদা ফলানো সম্ভব হয় না। পরিমিতি বলতে খুনি এটুকুই বোঝেন।

 ‘গোয়েন্দা গল্পবইটি এবছর বইমেলায়(২০১৭) ‘পাঠকথেকে প্রকাশিত হয়েছে। বইটির ৬১টি লেখাই কবি লিখেছেন তাঁর যুক্তি ও অনুসন্ধানের জায়গা থেকে। কবিতাগুলির ন্যারটিভ, বিষয় স্বতন্ত্রতা এবং আত্মজিজ্ঞাসা পাঠককে এক অন্য স্বাদের অনুভূতি জোগায়। এ এক নিজস্ব স্বাক্ষর। ব্যক্তিগত পুনরাবিষ্কার। সচরাচর চারফর্মার কাব্যগ্রন্থে ধারাবাহিক, পরীক্ষামূলক, প্রতিভাময় বিস্ফোরণ খুবই কম দেখতে পাওয়া যায়। সে দিক থেকে এ বই নিঃসন্দেহে অনন্য এবং উল্লেখযোগ্য।